ঢাকা রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অর্পিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত পেয়ে সাইনবোর্ড টানিয়েছে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি

আদিত্য কামাল
এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৩:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জি,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আড়ালে থেকে ঘনিষ্ঠজনের নামে অর্পিত সম্পত্তির বন্দোবস্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। এছাড়াও শহরের প্রধান সড়ক; টিএ রোড লাগোয়া ওই সম্পত্তি বন্দোবস্ত পেয়েছে বাংলাদেশ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা।
নতুন বন্দোবস্তপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে জায়গা দখলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ করেছে আগে বন্দোবস্তপ্রাপ্তরা।
মোট ৮ শতক পরিমাণ ওই জায়গা ১৯৬৭ সাল থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন সাবেক ডেপুটি কালেক্টর প্রয়াত নুরুল হুদার পরিবার। তাঁর স্ত্রী তৈয়বা খাতুনেরর নামে বাড়ির সামনে থাকা ওই জায়গা বন্দোবস্ত নেওয়া হয়।
তৈয়বা খাতুনের নাতী আশরাফুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৯৬৭ সালে আদালতের এক রায়ের মাধ্যমে তাঁর দাদী প্রয়াত তৈয়বা খাতুন বাড়ির সামনের ৮ শতক জায়গা ইজারা পান। এরপর ওই জায়গার ইজারার টাকা নিয়মিত পরিশোধ করে জায়গার ভোগ দখল করতে থাকেন। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে ২০০৩ সাল থেকে প্রশাসন ইজারার টাকা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০০৬, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০২২ ও ২০২৪ সালে  ইজারার টাকা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে তাঁরা আবেদনও করে। কয়েকটি আবেদনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বর্তমান গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর সুপারশি ছিল। তাঁদের কাছ থেকে ইজারার টাকা না নিয়ে জায়গাটি অন্যত্র ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তাঁদের কোনো রকম অবহিত না করেই ইজারা বাতিল করে ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নামে চার শতক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের ঘনিষ্টজন মো. শাহজাহান ওরফে হিরুকে আড়াই শতক জায়গা ইজারা দেয় প্রশাসন।
আশরাফুল হুদা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, শাহজাহানের নাম হলেও বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম জায়গাটি ভোগ দখল করবে। জায়গা বন্দোবস্ত পাওয়ার পর গত ৩১ মার্চ ভূমি অফিসার্স কল্যাণ সমিতির নামে ভূয়া নিবন্ধনবিহীন সংগঠনের লোকজন সন্ত্রাসী ও মাস্তান নিয়ে ওই জায়গার সীমানা প্রাচীর ও ফটক ভেঙে ফেলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ইজারার জায়গার পেছনে থাকা বাড়ির লোকজনের চলাচলের রাস্তায় স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ওই সংগঠনটির লোকজন জোরপূর্বক সেখানে প্রবেশ করে তাঁদের গালিগালাজসহ হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এসময় তাঁরা প্রবেশপথের ফটক খুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
আশরাফুল হুদা বলেন, ‘নিয়ামানুসারের যার বাড়ির সামনে অর্পিত জায়গা থাকবে, জায়গার পেছনের বাসিন্দারা সেই জায়গা ইজারা পাওয়ার কথা। আমাদের চার পুরুষ এখানে বসবাস করে আসছে। বাড়ির সামনের অংশের জায়গার ইজারা আমাদের দেওয়াসহ অবিলম্বে ইজারা বাতিলের দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল হুদার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ফারজানা ইশা, লায়লা খাতুন ও তানিয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, তৈয়বা খাতুনের বাড়ির সামনের জায়গার প্রতি শতকের মূল্য দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা। সেখানে ১০ কোটি টাকার জায়গা মাত্র ৮০০ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের মোবাইলফোন নাম্বরে ফোন করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের ওই সংগঠনের সভাপতি সদর ভূমি অফিসের রফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক বুধন্তি ইউনিয়নের কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন , ‘নীতিমালা মেনেই ২০০৯ সালে আমরা ৪ শতক জায়গা বন্দোবস্ত নিয়েছি। এরপর থেকে আমরা লিজমানি পরিশোধ করেছি। আর তাঁদের লীজ বাতিল করা হয়েছে গ্রাউন্ড ছিল বলেই। জেলা প্রশাসক হচ্ছে এই জায়গার মূল তত্ত্বাবধায়ক। তিনি যাকে ইচ্ছে দিতে পারেন। কারও বাড়ির সামনে থাকলে তাকে দিতে হবে– এমন কোন নিয়ম নেই।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।