স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলা ভিক্ষুক। এবিষয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ২ ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ ও ভিকটিমের বক্তব্য সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার গোহাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চান্দিয়াপাড়া গ্রামের( রহির বাড়ী) আলী আহমদ এর মেয়ে (৪০) ১৩ জানুয়ারী (শনিবার) শাহারাস্তি উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের বেরনাইয়া বাজারে ভিক্ষা করা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী উত্তর ইউনিয়নের রঘুরামপুর নামক স্থানে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:২০ মিনিটের দিকে ব্রিজের উপর পৌঁছলে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারী লম্পট বিল্লাল, বেলায়েত, আব্দুল কাদির, ও ইমাম হোসেন আমাকে অটোরিক্সা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আরিফ উল্লাহ পাটোয়ারী বাড়ীর শাহ আলমের নির্মাণাধীন একতলা বিল্ডিং এর ভিতর নিয়ে যায়। লম্পট বিল্লাল, বেলায়ত, ও কাদের পালাক্রমে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আসামি ইমাম হোসেন অন্যান্য আসামীদের একাজে সহায়তা করে। আমি বাধা দিলে বর্ণিত আসামিরা আমার সাথে ধস্তাধস্তি করে আমার ডান স্তনে নখ দিয়ে আঁচড় দেয় এবং বাম চোখের নীচে থেতলানো রক্তাক্ত জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিলঘুসি, দিয়ে নীলা ফুলা জখম করে। এ সময় ভিকটিমের ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে থানার খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শাহরাস্তি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
শাহারাস্তি মডেল থানার পুলিশ অভিযুক্ত দুই জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, মোঃ বিলাল হোসেন (২৮) পিতা মৃত. আব্দুর রব, ইমাম হোসেন মিয়াজী( ২১)পিতা আবুল হোসেন উভয় সাং যাদবপুর শাহারাস্তি চাঁদপুর। এব্যাপারে শাহারাস্তি থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শাহারাস্তি থানার মামলা নং ০৮, তাং- ১৪/০১/২৪ইং।
শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।